অস্থির বাজারে, স্বস্তির পেঁয়াজ – বিক্রয় হবে অনালাইনে
অস্থির বাজারে, স্বস্তির পেঁয়াজ - বিক্রয় হবে অনালাইনে
টিসিবি ট্রাক থেকে লাইনে দাড়িয়ে হয়তো নিম্নআয়ের মানুষেরা ন্যায্যমূল্যে পেঁয়াজ কিনবেন, কিন্তু করণা পরবর্তী সময়ে মধ্যআয়ের মানুষদের কি হবে?
আত্মসম্মানে তো তারা লাইনে দাড়াতে চান না, অনেকদিন ধরেই আমরা তাই চেষ্টা করছিলাম টিসিবি পণ্য সমুহ অনলাইনের মাধ্যমে মধ্য এর মানুষদের কাছে বাসায় পৌঁছে দিতে।
এবার অল্প পরিসরে পেঁয়াজ বিক্রি দিয়ে যাত্রা শুরু হচ্ছে ই ক্যাব এর আওতায় “ডিজিটাল হাট” থেকে, যেখানে বেশ কিছু ই কমার্স সাইট থেকে ক্রেতারা টিসিবি পণ্য কিনতে পারবেন।
টিসিবি এর পিয়াজ সহ অন্যান্য পণ্য অনলাইনে বিক্রি করার জন্যে ই ক্যাব এর আওতায় ৩০ টি প্রতিষ্ঠানকে অনলাইন পরিবেশক বা ডিলারশিপ দেওয়া হবে, তবে প্রাথমিক ভাবে ৬ টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আগামী সপ্তাহ থেকে মধ্যম আয়ের মানুষের জন্য টিসিবি এর পিয়াজ বিক্রি শুরু করবে।
আগামী রবিবার প্রেস কনফারেন্স এর মাধ্যমে ই ক্যাব এর “ডিজিটাল হাট” এর এই কার্যক্রম শুরু হবে।
পেয়াজ নিয়ে বানিজ্য মন্ত্রনালয় সচিব ও টিসিবি চেয়ারম্যানের সাথে ই-ক্যাব এর বৈঠক শেষ জানান, ই-ক্যাবের ডাইরেক্টর আসিফ আহনাফ।
ই-ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, ‘আমরা ই-ক্যাব থেকে ইতোমধ্যে করোনাকালীন নিয়মিত সেবা দিয়ে মানুষের পাশে আছি। এছাড়া লকডাউন এলাকায় জরুরি পণ্য সরবরাহ, আম মেলার মাধ্যমে অনলাইনে আম বিক্রয় ও ডিজিটাল কুরবানি হাটের মাধ্যমে গরু বিক্রি করে বাসায় মাংস পৌঁছে দিয়ে একদিকে নিজেরা অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি, অন্যদিকে জনগণের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সব সময় আমাদের সঙ্গে ছিল। আমাদের সাম্প্রতিক উদ্যোগগুলোর সফলতাই আমাদেরকে আজ পেঁয়াজের বাজারে নিয়ে এসেছে।’
জানা যায়, সরকারের আমদানিকৃত পেঁয়াজের দশ শতাংশ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সরবরাহ করা হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে এই পরিমাণ কম হলেও পরে তা বাড়ানো হবে। আশা করা যায় ১০ হাজার মেট্রিকটন পেঁয়াজ অনলাইন শপ থেকে এই কর্মসূচীর আওতায় বিক্রি করা হবে।
“ই-কমার্সের অঙ্গীকার, ন্যায্য মূল্য অধিকার”