ইভ্যালির ভুলগুলো আমি অবশ্যই স্বীকার করি !
ইভ্যালির ভুলগুলো আমি অবশ্যই স্বীকার করি !
কিন্ত করোনার সময় বাংলাদেশের অর্থনীতি যে বড় ধাক্কা খায় নাই সেটির অন্যতম একটি চালিকা শক্তি ছিল ইভ্যালি।
বহু বড় কর্পোরেট কোম্পানির সেলস এর ৬০% এর অধিক শুধু ইভ্যালির মাধ্যমে হয়েছিল। আমি কেন এই কথাগুলো খুব বেশি বলতে পারি না? কারণ আমার ছোটবেলা থেকে নিজের না পারা টাই বেশি উল্লেখযোগ্য মনে হত। হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং আমাকে ক্রিমিনাল হিসেব প্রতিষ্ঠিত করতে চাওয়ার বিপরীতে খুব বেশি কথা কোথাও বলি নাই। কারণ আমার ব্যক্তিগত অর্জন পরীক্ষা করে কখনও কেউ প্রমাণ করতে পারবে না আমি কোন ক্রাইম করেছি। আমি যে ভূল করেছি এটাও আমি বলেছি যখন পুরো একটা ডিসাস্টার ঘটে গেছে। অবশ্যই ভূল করার জন্য আমি ইভ্যালি শুরু করি নাই।
অর্থনৈতিক স্থবিরতা অবশ্যই একটি দেশের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয়। এই চেইনকে মাঝে মাঝে পুশ করে চাঙ্গা রাখতে হয়। আপনারা যেভাবেই বলেন না কেন ইভ্যালির একটি সলিড রিকোয়ারমেন্ট বাংলাদেশে আছে। কেন পুশ করতে ইভ্যালিকে দরকার?
১। ব্র্যান্ড বড় পুশ করলে কোয়ালিটি নিয়ে প্রশ্ন উঠে। যে জামা আজ ১০০০ সেটি কাল ৩০০ তে সেল করলে ব্র্যান্ড এর প্রতা নেগেটিভ ধারণা হয়। ইভ্যালিতে সেল হলে এই জায়গাটা ঠিক থাকে।
২। একটি সিঙ্গেল পয়েন্ট থেকে পুশ গেলে সেটি ম্যানেজমেন্ট অনেক ইজি এবং কস্ট্ ইফেকটিভ হয়।
৩। ইনভেনটরি ম্যানেজ করতে হিউজ ওয়েস্ট হয়। এবং ব্র্যান্ড এর প্রচুর ইনভেস্ট স্টাক হয়ে থাকে। আপনি ৪০০ থানায় প্রতি শোরুমে ৫ পিস করে টিভি স্টক রাখলে কেমন ইনভেস্ট লাগবে ভেবে দেখুন।
ইভ্যালির ব্র্যান্ড পজিশন খুব সলিড। বেস্ট প্রাইসে পণ্য এক জায়গায় পাওয়ার সুযোগ দেয় ইভ্যালি।
আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি বর্তমান পরিস্থিতিতে সেলস পুশে হিউজ একটা ইমপ্যাক্ট রাখতে পারে ইভ্যালি। ক্যাশ অন ডেলিভারিতে কোন রিস্ক নাই।
কেন পারছি না তাহলে বা কি আশা করি ?
আমাদের গ্রাহকদের সহানুভূতি এবং সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা। আমরা এখন নিজের লাভ ছাড়া আর কিছুই টাচ করি না। এখনও ইভ্যালি নিজ পায়ে চলছে। আপনারা পাশে থাকলে অবশ্যই ইভ্যালি এই দেশের মানুষের জন্য ভালো কিছু উপহার দিবে।
আল্লাহ আমাদের সহায় হবেন।
-সিইও মোহাম্মদ রাসেল