“বন্দী ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস-২০২১”
বন্দী ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস-২০২১
১২ ডিসেম্বর, ২০২১
ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস ২০২১
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার এক স্বপ্নদ্রষ্টা উদ্যোক্তাকে চার দেয়ালে বন্দী রেখেই ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস ২০২১ এর শুভেচ্ছা জানাই সবাইকে।
শুভেচ্ছা জানাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কে, যার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নপূরণ হচ্ছে। আপনার স্বপ্নপূরণের নেতৃত্বে সামান্য অংশীদার হতে চাওয়া ইভ্যালির সিইও মোহাম্মদ রাসেল আমাদের স্বপ্নপূরণের অপরাধে আজ চার দেয়ালে বন্দী। অপরাধ ছিল ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানের সামান্য অংশিদার হওয়া।
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার এই স্বপ্নদ্রষ্টা মাত্র তিন বছরে ৪৫ লাখ গ্রাহক, ৩৫ হাজার মার্চেন্ট/সেলার বেস একটি দেশীও ই-কমার্স কোম্পানি গড়ে তুলেছে। যার গ্রাহক ও মার্চেন্ট রয়েছে বাংলাদেশর ৪৯৫ টি উপজেলা। মাত্র ১ ঘন্টাও সমগ্র বাংলাদেশ গ্রোসারি পন্য ডেলিভারি করে রেকর্ড করেছেন ইভ্যালির এই মার্চেন্টরা।
২০২০ সালে ফেব্রুয়ারিতে সিঙ্গাপুর-ভিত্তিক আন্তর্জতিক ম্যাগাজিন এশিয়াওয়ান ইভ্যালিকে বাংলাদেশর সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল ব্র্যান্ড হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছেন।
করোনাকালীন জনগণের দোরগোড়ায় নিত্য পণ্য, ঔষধ, জরুরী সেবা ও ই-ক্যাবের মানবসেবা সহযোগিতার জন্য ২০২০ সালের নভেম্বরে, ইভালি তাদের খাদ্য সরবরাহ পরিষেবা ‘ইফুড’-এর জন্য ই-সিএবি কর্তৃক ইকমার্স মুভার্স অ্যাওয়ার্ড (ইসিএমএ) পেয়েছিল।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত ‘চ্যানেল আই মিডিয়া পুরস্কার -২০২০’ এ ইভ্যালি ই-বাণিজ্য বিভাগে সেরা কোম্পানি হিসাবে নির্বাচিত হয়েছিল। ই-কমার্স ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান হিসাবে ‘সেরা কিপার চ্যানেল আই মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড-২০২০’ পেয়েছিল।
তাছাড়াও ইভ্যালির প্রাপ্তির তালিকা অনেক। সব চেয় বড় প্রাপ্তির গ্রাহকের বিশ্বাস। গ্রাম বাংলা বসেও ডিজিটাল পদ্ধতিতে অগ্রিম পেমেন্ট দিতে বিশ্বাসের কমতি ছিল না ইভ্যালর প্রতি। লাক্ষেও বেশি স্মার্টফোন ডেলিভারি করেছে শত ভাগ গুণগত মান রক্ষা করে। কম্পিউটার, এসি, ফ্রিজ, টিভি, গাড়ি কি বিক্রয় করে নাই ইভ্যালি। সঠিক ব্র্যান্ডের পন্য ডেলিভারিতে গ্রাহকের কাছে বিশ্বাস এক নম্বরে ছিল ইভ্যালির রাসেল।
ই-কমার্সের এত বড় বিশ্বাস অর্জন করে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অন্যতম স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান ছিল ইভ্যালি। এই বিশ্বাসের প্রতিদান স্বরূপ লক্ষ গ্রাহক ইভ্যালিকে ফিরে পেতে চায়, ফিরে পেতে চায় ইভ্যালি প্রতিষ্ঠাতা সিইও মোহাম্মদ রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে।
কারণ এই উদ্যোক্তা দম্পতি চেয়েছে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়া অংশিদার হতে, তারা চায় বাংলাদেশী কোম্পানি বিশ্ব বাজারে নেতৃত্ব দেবে, চায় বাংলাদেশর জিডিপি বৃদ্ধি করতে, চায় হাজার বেকাতের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতেন, তৈরি করতে চায় দেশিও উদ্যোক্তা, সৃষ্টি করতে চায় একটি ব্যান্ড, দেশীও ব্র্যান্ড!!
এই স্বপ্নদ্রষ্টা উদ্যোক্তা যেমন করে গ্রাহকের স্বপ্ন পূরণে করেছে, তেমনি গ্রাহকও চায় এই উদ্যোক্তার স্বপ্ন পূরণে অংশীদার হতে।
বিশ্বাস ছিল আছে, কর্পোরেট মাফিয়াদের চক্রান্ত থেকে মুক্তি পাবে রাসেল, মুক্তি পাবে ইভ্যালি, জয় হবে সত্যের।
মোফতাছিম বিল্লাহ নাহিদ,
এডমিন, ইভ্যালি ফ্যান্স ক্লাব।