রাসেল সাহেব বাংলাদেশের ই-কমার্স জগতে একটা মডেল, তিনি সব ধরনের কোম্পানির সাথে সমঝোতার মাধ্যমে ইভ্যালির আওতায় আনার ব্যবস্থা করছিলেনিনের। আমরা জানি এপল ওয়ার্ল্ডওয়াইড একটা সুনামধন্য কোম্পানি তবুও আইফোনের ব্যাটারি চার্জ কম থাকার ব্যাপারে হাজারো অভিযোগ, ইভ্যালির ক্ষেত্রেও বিষয় টা এমনি।
অনেকেই ইভ্যালিকে পঞ্জিস্কিমের সাথে তুলনা করতেছেন। আপনার পাড়ার দোকানে দোকানি কি করে? সে যে মহাজন এর থেকে মালামাল আনে সেটার কি পুরো টাকা শোধ করে? প্রথমে ২০ টাকা দিয়ে ৫০ টাকার মাল নিয়ে আসে, আবার পেইড করে ১০০ টাকার মাল নিয়ে আসে তাহলে কি এইটা পঞ্জি স্কিম এর মধ্যে ফেলবেন?
রাসেল সাহেব তো একটা পজিটিভ চিন্তাধারার মধ্যে এগোচ্ছে। সে তো ৫০০০ কোটি টাকার অর্ডার ডেলিভারি করছে, তার যদি হারানোর পালানোর বিন্দু পরিমান ইচ্ছে থাকতো তাহলে এতো দূর আসতোনা। রাসেলের মাঝে ফল্ট(ঝামেলা) কিছু থাকলে বাংলাদেশ ব্যাংক এক মাস একাউন্ট ফ্রিজ করে পরে খুলে দিতোনা। এমএলএম এর ব্যাপারে এতো কনফিডেন্টলি রাসেল সাহেব বলতে পারতোনা। এস্ক্রো সিস্টেম করে গ্রাহকদের উপকার করার বদলে আনছে হয়রানি আর জটিলতা।
এস্ক্রোর কারনে ক্ষতিগ্রস্ত হইছে ই-কমার্স যার ফলস্বরূপ ভোগান্তিতে সাধারণ ক্রেতা বিক্রেতা। এ ব্যাপারে আইসিটি মন্ত্রণালয়, বানিজ্য মন্ত্রণালয় সহো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিকল্প কোনো পন্থা বের করে এই জটিলতা থেকে পরিত্রান করালে ই-কমার্স তথা সাধারণ গ্রাহল উপকৃত হবে।