ব্যবসার নতুন ফাঁদ ই–ভ্যালিকে কে পালাচ্ছে?
ডিজিটাল ব্যবসার নতুন ফাঁদ ই–ভ্যালিকে কে পালাচ্ছে?
আসেন আলোচনা করি, দেখি আমার হিসাবের সাথে আপনাদের হিসাব মিলে কিনা। প্রথম আলোতে একটি নিউজ এসেছে ইভ্যালিকে নিয়ে। যা আজ লিড নিউজ এবং তার শিরোনাম “ডিজিটাল ব্যবসার নতুন ফাঁদ ই–ভ্যালি “
Lets give some opinion.
প্রথম আলোর এই পল্টিবাজী নতুন কিছু না, তবে as i am not from evaly, i can say something! কর্পোরেট পলিটিক্স নামে একটা বিষয় আছে। যেখানে সবচেয়ে easy term হচ্ছে blame game. কাউকে একটা blame দিতে কোন কিছুই করতে হয়না। আসুন, ইভ্যালির বর্তমানে প্রোডাক্ট সেল লাইনআপ নিয়ে কিছু বলি, ইভ্যালি এখন হোম এপ্লায়েন্স/ইলেকট্রনিক্স প্রোডাক্ট নিয়ে যাদের সাথে বিজনেস করে তারা হচ্ছে Samsung, Esquire, Mk electronics, Singer, Elecrtrmart & many other brand. এই সব গুলো কোম্পানির সেল এখন ইভ্যালির চাঙ্গা, করোনার ভাইরাসে সেল কমেনি, মানুষও কমে পেয়ে কিনেছে এবং তাদের রেভিনিউ বেড়েছে। ঘটনা যেটা হবার কথা সেটা হচ্ছে ইভ্যালি ডিরেক্ট ব্রান্ড গুলোর সাথে বিজনেস করছে, ট্রান্সকম এই আলাদা আলাদা ব্রান্ডের প্রতিটা প্রোডাক্টই সেল করে। ফলে মানুষ ইভ্যালিতে কমে পেলে কেন তাদের থেকে কিনবে? দ্বিতীয়ত তাদের সেল কমে যাওয়ায় মার্কেট ক্রেডিট কমে গেছে। প্রশ্ন হচ্ছে ট্রান্সকমের সাথে প্রথম আলোর নিউজের সম্পর্ক কি? প্রথম আলো ট্রান্সকমের আয়ত্তাধীন সংবাদপত্র প্রতিষ্ঠান, বাকিটা আপ্নারা বুঝতেই পারছেন।
এবার আরেকটা দিকে যাই, কোকা কোলার সেল হচ্ছে ইভ্যালিতে আরেক জমজমাট ক্যাম্পেইন, আর পুরো দুনিয়ায় কোকা কোলার প্রতিদ্বন্দ্বী হচ্ছে পেপসি। আর বাংলাদেশে পেপসি ফ্রাঞ্চাইজ হচ্ছে ট্রান্সকম বেভারেজ ফলাফল পেপসির ব্যাবসায় ধ্বস।
কথা হচ্ছে কর্পোরেট ডিল কখনোই ১০০% স্মুথ থাকেনা ups and downs থাকবেই, তাই বলে কোন প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে নিজেদের পত্রিকায় এমন নিউজ করাটা ক্ষমতার অপব্যাবহার বলে আমি মনে করি এবং মার্কেটে মনোপলি করার একটা বাজে প্রচেস্টা।
প্রথম আলোর নিউজে বিশেষজ্ঞ দের কথা বলা হয়েছে? কোন বিশেষজ্ঞ? কোন অডিট ফার্মের কথা বলা হয়েছে কি? কোন অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানের কথা বলা হয়েছে কি? ফাকা মাঠে blame দেয়াটা বেশ সহজ এবং প্রথম আলোর ইতিহাস বলে তারা সবসময় ধরেই blame game খেলে আসছে but still তারা তাদের মত প্রকাশ করেছে, যদি কোন সূত্র দিত সেটাও মানা যেত, কোন সোর্স/সূত্র বিহীন এমন খবর দেশের ই-কমার্স কে সাহায্যের জন্য নয় বরং থামিয়ে, স্লথ করে দিতে পারে।
যাই হোক একটা সময় প্রথম আলোই ইভ্যালির পক্ষে নিউজ করেছে ভুরি ভুরি। আজ যদি ইভ্যালি খারাপ হয় তাহলে এই খারাপের মার্কেটিং প্রথম আলো কেন শুরু করলো?
ইভ্যালিকে এশিয়া ওয়ানের স্বীকৃতি -Prothom Alo
সেবা বাড়বে ইভ্যালির – Prothom Alo
করোনায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পৌঁছাবে ইভ্যালি – Prothom Alo
আবার এর মাঝে ইভ্যালির সিইও মোহাম্মদ রাসেল সাহেবের সাথে দেখি বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা সোবহান সাহেবের ছোট ছেলে সাফওয়ান সোবহান আনভীর সাহেবের বসুন্ধরা ফুড চেইনের সাথে চুক্তির নিউজ।
বসুন্ধরা রেস্টুরেন্ট চেইনের খাবার পাওয়া যাবে ইভ্যালিতে – কালের কন্ঠ
প্রশ্ন, খেলাটা কি তাহলে ট্রান্সকম গ্রুপ বনাম বসুন্ধরা গ্রুপে চলে গেলো?
খেলায় টুইস্ট দেখেন,
প্রথম আলোর সেই সংবাদে এক লোকের সাক্ষাৎকার আছে, যার নাম, আমান উল্লাহ। উনি বলেছেন, “গত ১৪ জুলাই দুদক চেয়ারম্যান বরাবর এক আবেদনে ই-ভ্যালি নিয়ে তদন্ত করার অনুরোধ জানান। যোগাযোগ করলে আমানউল্লাহ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ই-ভ্যালি হচ্ছে ডিজিটাল এমএলএম কোম্পানি। দেশের ই-কমার্স প্ল্যাটফরমকে বাঁচাতে এর কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা উচিত।”
কে এই আমানউল্লাহ চৌধুরী?
এই আমানউল্লাহ চৌধুরীর কাহিনী দেখেন-
যেই আমানউল্লাহ চৌধুরী নিজেই আমাজনের নাম নিয়ে ভুয়া কাজ করছিল সে নিজেই প্রথম আলোতে বলে, ইভ্যালি বন্ধ করতে।
প্রশ্ন, এই আমানউল্লাহ চৌধুরী এর সাক্ষাৎকার নিতে প্রথম আলো তাকে পেলো কোথায়? নাকি এই নিউজের পিছে আমান উল্লাহ এর হাত আছে?