ইভ্যালীর ব্যবসায়িক মডেল নিয়ে কৌতুহল থাকা স্বাভাবিক, অবশ্যই অস্বাভাবিক রকমের ছাড় কিংবা কিভাবে এই অফার পলিসি, দেশ ব্যাপি ব্যানার করতে পারলেন একজন দেশি উদ্যোক্তা তা নিয়ে কান কথা বা আলোচনা হওয়ায় অস্বাভাবিক নয়। যেহেতু ঘর পোড়া গরু সিঁদুরে মেঘ দেখলে ভয় পায় তাই ডেসটিনি, ডোলেন্সার, স্কাইলেন্সার এ আক্রান্ত জাতী এগুলা নিয়ে চিন্তিত হবে এটাও স্বাভাবিক। মানুষ জানতে চাইবে, বুঝতে চাইবে। নিজেরা না বুঝলে কতৃপক্ষের সহায়তা নিবে। কতৃপক্ষ সেগুলা বিচার করে রায় দিবে এবং জনগন সে অনুসারে ইভ্যালীর ব্যাপারে পরবর্তি একশন নিবে। তবে কারো নামে কোন অভিযোগ আসলেই সে দোষী হবে এমনটা ভাবার কোন অবকাশ নাই। অভিযুক্ত আর আসামীর মধ্যে একটা পার্থক্য আছে।
যাই হোক ইভ্যালী যে দেশের গতানুগতিক ধারার ব্যবসা নয় এটা আমরা সবাই জানি। এটা কারো মাথার উদ্ভাবনী হতে পারে, কতৃপক্ষ যদি দেখেন এটাতে ক্ষতির কিছু নাই, কাস্টমার লাইবিলিটি পূরন করার জন্য ইভ্যালীর যথা যথ পরিকল্পনা আছে। তাহলে একটা দেশী স্টার্ট আপ কে অবশ্যই বরং সহযোগিতা করা উচিত। আমরা বিশ্বাস করি ন্যায় সংগত ভাবে ব্যবসা বা জীবন চালানোর জন্যই আইন। আইনের জন্য জীবন বা ব্যবসা নয়। কিছুদিন আগেও দুনিয়ার ব্যবসায় ডাটা পলিসি ছিলো না, পাঠাও এর মত রাইড শেয়ারিং এর জন্য রোড ইউজেস পলিসি ছিল না। এয়ার বি এন বি এর মত প্রতিষ্ঠান এর জন্য হোম শেয়ারিং পলিসি ছিল না। মেডিসিন ডেলিভারির জন্য ডাইবেটিস স্টোর এর মত প্রতিষ্ঠানের মেডিসিন ডিস্ট্রিবিউশন আইন ছিলো না। ব্যবসা গুলির উতকৃষ্টতা প্রমান হওয়ায় তার জন্য আইন বা নিতীমালা প্রবর্তিত হয়েছে। আবার এম এল এম প্রতিষ্ঠান গুলিকে ক্ষতিকর পাওয়ায় তা নীতিগত ভাবে নেগেটিভ ধরে বে আঈনী হিসেবে পরিগনিত হয়েছে। সুতরাং নতুন ধারার ব্যবসা মানেই বে-আইনী হবে তার কোন প্রকার যৌক্তিকতা থাকতে পারেনা। এক্ষেত্রে ইভ্যালীর ব্যাপারেও বে-আঈনী কিছু না পাওয়া গেলে (পাওয়া যাবেনা ইনশাল্লাহ), ইভ্যালীও হয়ত নতুন করে নিতীগত সহায়তা বা পরামর্শ পেতেই পারে, কিংবা বিচক্ষন কতৃপক্ষের দুরদর্শিতার জন্য পেতে পারেন ব্যবসায়িক কিছু পরিবর্তনের পরামর্শ। একটা নতুন প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠতে এই পথ টুকু পাড়ি দিতে হওয়া কখনোই অস্বাভাবিক নয়। বরং এই পথ পাড়ি দিয়ে গড়ে উঠার সুযোগ পেলেই বরং আপামর মানুষের সেবায় আরো বেশি দেশী উদ্যোক্তা গড়ে ওঠার সাহস তৈরি হবে।