ইভ্যালির সু-সময়ের কোকিল(বিক্রেতা)
প্রায় ৩৭ লক্ষ ক্রেতার সমাবেশ ইভ্যালিতে, আর এই ৩৭ লক্ষ ক্রেতাকে সেবা দিয়ে যাচ্ছে প্রায় ১৫ হাজার বিক্রেতা।
ইভ্যালি যখন পুরোদমে চলছিল, তখন ক্রেতা ও বিক্রেতা দুজনের মধ্যেই সম্পর্ক ছিল বেশ মধুর। ক্রেতা বিক্রেতার মধ্যে গড়ে উঠেছিল সুসম্পর্ক।যেমন- বাজাজ, টিভিএস, সুমাস টেক, রিও, হাওজুয়ে, স্যামসাং ইত্যাদির সেলারদের সাথে ক্রেতারা যেন জুড়ে বসেছিল। দু পক্ষেরই ভালোবাসা ছিল ইভ্যালির প্রতি। কিন্তু কিছু ভ্রান্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক ইভ্যালির সকল ব্যাংকিং কার্যক্রম স্থগিত করে দেয়। বিপাকে পড়ে ইভ্যালির ক্রেতা।
~ ইভ্যালীর সাথে বাংলাদেশের ইকমার্স এর ভবিষ্যৎ
~ ইভ্যালির ব্যাংক লেনদেনে স্থগিতাদেশ বাড়ায়নি বিএফআইইউ, স্বাভাবিক কাজে করতে বাধা নেই।
ক্রেতারাই যেহেতু রাজা, তারা দোষারোপ শুরু করে বিক্রেতা বা সেলারকে। কেন তারা তখন ডেলিভারী করেনি, কেন তারা ক্রেতাকে পন্য দিতে চাচ্ছিল না। বিপাকে পড়ে যায় ইভ্যালির বিক্রেতারা, তাদেরকে কিছু গোষ্ঠী বলা শুরু করে সু-সময়ের কোকিল! তাদের কে এই বাজে সময়ের মধ্যে বিভিন্ন ভাবে কঠাক্ষ করে, তাদের মনোবল ভেঙ্গে দেয়ার চেস্টা করে।
কিন্তু, বিক্রেতারা কি আসলেই সুসময়ের কোকিল ছিল? তারা কি তাদের সেবার সর্বোচ্চ টুকু দেয়নি?
তারা কি ইভ্যালির মাধ্যমে ক্রেতাকে খুশি করতে চায়নি?
একজন ক্রেতা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার অভিযোগ জানাতে পারলেও একজন বিক্রেতা কখনোই মুখ খুলতে পারেনা, আরো পারেনা সে তার ব্যাবসায়িক নীতি সবাইকে জানাতে, পারেনা তার ব্যাবসায়ের লেনদেনের ধরন জানাতে। এই বিক্রেতারাই চুপ ছিল সকল অভিযোগের প্রেক্ষিতে, তারা পারেনি ইভ্যালির বিরুদ্ধে কিছু বলতে, তারা পারেনি ক্রেতাকে কিছু বলতে। ক্রেতার মত বলতে পারে নাই ইভ্যালি বাটপার কিংবা ইভ্যালির সিইও মোহাম্মদ রাসেল ভাইকে কালার চাপে ধরে নাই, আমার বকেয়া বিল দিয়ে দেওয়ার জন্য। মাঝখানে তারা হয়ে গেল সু-সময়ের কোকিল!
ক্রেতার কষ্ট সবাই দেখলেও একজন ব্যাবসায়ী, একজন বিক্রেতার কষ্ট কেউ দেখবেনা। তারা আসলেই অদৃশ্য, তারাও নিন্দার যোগ্য, তাদেরই সকল দোষ, তাদেরই সকল সমস্যা, তাই নয় কি?
ক্রেতা চাইলেই বিক্রেতাকে সু-সময়ের কোকিল বলতে পারে, তবে একজন বিক্রেতা বা সেলার কি পারে এমন উদ্দেশ্যপূন্য, কটাক্ষকারী বার বার সুবিধাভোগী, সময়ের সমস্যা না বোঝা ক্রেতাকে সু-সময়ের ক্রেতা বলতে? পারে কি?
পারলেও হয়ত সেলার চুপ থাকবে, তাকে থাকতে হবে। কারন সে সেলার। সে হয়ত ইভ্যালির, দারাজের সেলার। হতে পারে দিন শেষে শুধু একটাই পরিচয় সু-সময়ের কোকিল!
সবকিছুর পরেও এই সু-সময়ের কোকিল নামখ্যাত সেলার/বিক্রেতারাই আবার ক্রেতাকে সেবা দিবেন। এই সু-সময়ের কোকিলরা ইভ্যালির খারাপ সময় পাসে ছিল অন্য ভাবে, যা আমাদের হয়তো জানা নাই। ততদিন নাহয় সেলাররা সু-সময়ের কোকিল নামেই রয়ে গেল….