আজ দুপুর ১২ টায় ইভ্যালিতে এক কেজি মিষ্টি অর্ডার করি। ঠিক ১ ঘন্টা পর ডেলিভারি ম্যান এসে দিয়ে গেলো। কৌতুহলবশত ছেলেটিকে জিজ্ঞেস করলাম তোমার চার্জ কে দিবে সেলার নাকি ইভ্যালি (যেহেতু ইভ্যালির ব্যাংক একাউন্ট এখন বন্ধ)? ছেলেটি উত্তরে যা বললো তার জন্যে আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না।
“একটা কারখানায় ৮ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করতাম। লক ডাউন শুরু হওয়ার পর চাকরি টা চলে যায়। হাতে থাকা কিছু জমানো টাকা শেষ হওয়ার পর কোনদিন ১ বেলা খেয়ে কোনদিন না খেয়ে ছিলাম। নতুন চাকরির চেষ্টা করেছি। সব বন্ধ, কেউ কাজ দেয়নি। তখন ইভ্যালির এক্সপ্রেস শপ চালু হওয়ায় একজনের পরামর্শে ডেলিভারি হিরো হিসেবে জয়েন করি। এরপর থেকে প্রতি মাসে ১৮/২০ হাজার টাকা রোজগার করি। পত্রিকায় লেখালেখির কারনে জানি তাদের টাকা দিতে দেরি হবে, কিন্তু বিশ্বাস আছে ইভ্যালি কাউকে ঠকাবে না।”
ফেসবুক থেকে সংগ্রহীত।
5/5 - (2 votes)