‘ইভ্যালির রাসেল মুক্তি পেলে লাখো মার্চেন্ট-গ্রাহক মুক্তি পাবেন’
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেলের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন মার্চেন্ট ও গ্রাহকরা। বুধবার (৬ জুলাই) ঢাকার নিম্ন আদালত এলাকায় ইভ্যালি মার্চেন্ট অ্যান্ড কনজিউমার কো-অর্ডিনেশন কমিটি এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
রাসেলের মুক্তির দাবিতে এদিন সকালে আদালত এলাকায় মানববন্ধন করেন মার্চেন্ট ও গ্রাহকরা। মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তারা।
তাতিবাজর মোড়ে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ইভ্যালি মার্চেন্ট অ্যান্ড কনজিউমার কো-অর্ডিনেশন’র সমন্বয়ক মো. নাসির উদ্দিন বলেন, আমাদের মূল দাবি হলো রাসেল ভাইয়ের মুক্তি। আমরা যে লাখ লাখ মার্চেন্ট ও গ্রাহক আছি, আমরা মনে করি রাসেল ভাইয়ের মুক্তি হলে আমাদের মুক্তি হবে। রাসেল ভাই মুক্তি পেলে আমরা আমাদের প্রোডাক্ট খুঁজে পাবো। তার বিরুদ্ধে করা ১০ মামলার মধ্যে ৮ মামলায় জামিন পেয়েছেন। একই ধারায় করা আরও দুই মামলায় ১০ মাস ধরে তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন। আমরা মনে করছি, রাসেল ভাই ন্যায়বিচার হতে বঞ্চিত হচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, মামলা হলেই যে তিনি অপরাধী সাব্যস্ত হবেন তা নয়। মামলার পর তদন্তকারী কর্মকর্তা অভিযোগপত্র দাখিল করবেন। এরপর মামলা ট্রায়ালে যাবে। ট্রায়াল শেষে বিচারক রায় ঘোষণা করবেন। অপরাধী হলে তিনি সাজা ভোগ করবেন। নির্দোষ হলে তিনি ছাড়া পাবেন। জামিন পাওয়া তার অধিকার। রাসেলের মুক্তির সঙ্গে লাখো মার্চেন্ট ও গ্রাহকের মুক্তি জড়িত। তাই আমরা ঈদের আগে রাসেল ভাইয়ের মুক্তি চাচ্ছি।
গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ইভ্যালির এমডি রাসেলের বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। অভিযান শেষে রাসেল ও তার স্ত্রী ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে গ্রেফতার করে র্যাব। গত ৬ এপ্রিল বিকেল পৌনে ৬টার দিকে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান শামীমা নাসরিন। গত ২১ সেপ্টেম্বর থেকে কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন তিনি। তবে ১০ মাস ধরে কারাগারে আটক রয়েছেন রাসেল।