ইভ্যালির ব্যাংক লেনদেনে স্থগিতাদেশ বাড়ায়নি বিএফআইইউ, স্বাভাবিক কাজে করতে বাধা নেই।
ইভ্যালির ব্যাংক লেনদেনে স্থগিতাদেশ বাড়ায়নি বিএফআইইউ, স্বাভাবিক কাজে করতে বাধা নেই।
দেশীয় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির লেনদেনে ৩০ দিনের স্থগিতাদেশের সময়সীমা আর বাড়ায়নি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। ফলে ইভ্যালির সকল কার্যক্রম স্বাভাবিক ভাবে পরিচালনা করতে আর কোন বাধা নেই। আজ ২৮ সেপ্টেম্বর, সোমবার এই তথ্য জানা গেছে বিভিন্ন টেলিভিশনের শিরোনামে।
ব্যাংক একাউন্ট যেকোনো সময় খুলে দিবে স্ব স্ব ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। সম্ভবত সকল ব্যাংক একাউন্ট খুলতে দু-একদিন সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন ইভ্যালি ফ্যান্স ক্লাবকে ইভ্যালির সিইও মোহাম্মদ রাসেল। ব্যাংক একাউন্ট খুলেই পেমেন্ট গেটওয়ের চালু হবে। তিনি আরো বলেন খুব শিগ্রহী ইভ্যালি আগে অবস্থানে ফিরে যাবে। ডেলিভারি করা হবে পূর্বের সকল অর্ডার। তিনি বিশ্বাস করেন, ইভ্যালি আগের থেকে দ্বিগুণ গতিতে এগিয়ে যাবে।
গত ২৭ আগস্ট মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ২৩(০১)(গ) ধারার ক্ষমতাবলে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট ৩০ দিনের জন্য ইভ্যালি ডট কম লিঃ এর নামে এবং প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শামীম নাসরিন ও সিইও মোহাম্মদ রাসেলের নামে সকল ব্যাংক হিসাব স্থগিত করে।
উল্লেখ যে, গত ২৭ আগস্ট মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট ৩০ দিনের জন্য ইভ্যালির সকল ব্যাংক হিসাব স্থগিত করায় ইভ্যালির ব্যাংকিং লেনদেন ও সকল প্রকার গেটওয়ে পেমেন্ট করা বন্ধ হয়ে যায়। তার একদিন পরেই ইভ্যালি তাদের অর্ডার কার্যক্রম চালুর রাখার জন্য প্রথাম COD অর্ডার প্রদ্ধতি চালু করে। যাতে গ্রাহক ৩০% ইভ্যালি ব্যালেন্স এবং ৭০% ক্যাশ কিংবা ১০০% ক্যাশ টাকা দিয়ে পণ্য অর্ডার করতে পারে। এই COD পদ্ধতিতে ইভ্যালির দুই শতাধিক এরও বেশি বিক্রেতা বিভিন্ন ডিসকাউন্ট অফারে যুক্ত হয়েছিলেন। একই সাথে রেগুলার সকল বিক্রেতাও এই পদ্ধতিতে পণ্য অর্ডার নিয়েছে, যা বিক্রেতা সরাসরি গ্রহকের কাছে পৌঁছে দিয়েছে এবং বিক্রেতা ৭০% কিংবা ১০০% ক্যাশ টাকা নিজেই সংগ্রহ করে নিয়েছেন।
~ ইভ্যালির ব্যাংক একাউন্ট খুলে দেওয়া হচ্ছে।
~ ইভ্যালিকে কোন বাঁচানোর প্রয়োজন – একজন উদ্যোক্তার গল্প!
~ মাইক্রোসফট এর বিরুদ্ধে অনাস্থা মামলা এবং ইভ্যালির জন্য শিক্ষা