শুধুমাত্র মামলার কারণে অর্থ আটকে রাখা যুক্তিযুক্ত নয়ঃ ই-ক্যাব
কারিগরি কমিটির সভা ই-ক্যাব বলেন, করেন শুধুমাত্র মামলার কারণে অর্থ আটকে রাখা যুক্তিযুক্ত নয় এবং মানি লন্ডারিং অভিযোগ ব্যাতিত অন্য ই-কমার্সের ব্যবসা চালু করতে দেয়া উচিত। আরো বলেন, অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানকে শর্ত সাপেক্ষে এবং নজরদারীর মধ্যে রেখে আইনি প্রক্রিয়ায় ব্যবসা চালু রাখার সুযোগ দেয়া উচিৎ।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ধীন ই-কমার্স কারিগরি কমিটির এক সভা গত ২১ ডিসেম্বর ২০২১, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্তি সচিব জনাব এ.এইচ,এম শফিকুজ্জামান। সভায় সরকারের ২২ এজেন্সির প্রায় ৩০ জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। এরমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক, বিএফআইইউ, সকল গোয়েন্দা সংস্থা প্রধান ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
কারিগরি কমিটির সভা জানানো হয় ইউবিআইডি চালু করার জন্য আগামী ৩১ জানুয়ারী পর্যন্ত সময় লাগবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে গ্রাহকের অর্থ ছাড় করার জন্য অভিযুক্ত ও মামলা হওয়া প্রতিষ্ঠানের তালিকা চাওয়া হয়েছে।
ই-ক্যাব থেকে আবারো গ্রাহকের অর্থ ফেরত দেয়ার জন্য জোরালো দাবী জানানো হয়। ই-ক্যাব থেকে বলা হয় শুধুমাত্র মামলার কারণে অর্থ আটক রাখা যুক্তি যুক্ত নয়। কারণ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ধরনের মামলা থাকতে পারে। তাই মানি লন্ডারিং এর মতো স্পর্শকাতর আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ ব্যতিত শুধুমাত্র ভোক্তা অভিযোগের ভিত্তিকে গ্রেফ্তার বা একাউন্ট ফ্রিজ যুক্তিযুক্ত নয়। বরং অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানকে শর্ত সাপেক্ষে এবং নজরদারীর মধ্যে রেখে আইনি প্রক্রিয়ায় ব্যবসা চালু রাখার সুযোগ দেয়া উচিৎ। এছাড়া যেসব প্রতিষ্ঠানের নামে মামলা হয়েছে গেটওয়েতে আটকে থাকা অর্থ যেহেতু সেসব প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তি নয় বরং গ্রাহকের সম্পত্তি তাই গ্রাহকের পাপ্য টাকা দ্রুত ফেরত দেয়ার অনুরোধ করা হয়।
এছাড়া যেসব অর্থ ৩০ জুনের পূর্বের এবং যেসব অর্থের বিষয়ে মার্চেন্ট প্রতিষ্ঠান পণ্য ডেলিভারী দিয়েছে বলে দাবী করা হচ্ছে বা দেয়া হয়নি। সেসব বিষয় আইনি প্রক্রিয়াকে আরো গতিশীল করে দ্রুত সিদ্ধান্ত দেয়ার অনুরোধ করা হয়।
ই-ক্যাব থেকে অনুরোধ করা হয় ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই গ্রাহকদের কিছু টাকা ফেরত দিয়ে হলেও ফেরত প্রক্রিয়া শুরু করা প্রয়োজন। এবং দ্রুত গ্রাহকের টাকা ফেরত দেয়ার বিভিন্ন যৌক্তিকতা তুলে ধরে হয়। কারণ অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের নামে মামলা বা অভিযোগ থাকতে পারে সেজন্য গ্রাহকের টাকা আটক থাকা যুক্তিযুক্ত নয়।
গত ১৮ অক্টোবরে সভায় ৩০ জুনের পরের আটকে থাকা অর্থ গ্রাহককে ফেরত দেয়ার সিদ্ধান্ত এখনো কার্যকর না হওয়ায় এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।