Site icon Evaly Fan's Club

সম্পদ বিক্রি নয়, ইভ্যালির ব্র্যান্ড ভ্যালু কাজে লাগানোর দাবিতে মানববন্ধন

সম্পদ বিক্রি নয়, ইভ্যালির ব্র্যান্ড ভ্যালু কাজে লাগানোর দাবিতে মানববন্ধন

ইভ্যালির সম্পদ বিক্রি করে নয়, বরং ব্র্যান্ড ভ্যালু কাজে লাগিয়ে ইনভেস্টর আনার দাবি জানিয়েছেন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানটির ভোক্তা ও মার্চেন্টরা। রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় ধানমন্ডির ইভ্যালির প্রধান কার্যালয়ের সামনে এক মানববন্ধনে এ দাবি জানান তারা। অডিট না হওয়া পর্যন্ত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির কর্মকর্তাদের ব্যবহৃত গাড়িসহ অন্যান্য সম্পত্তি বিক্রি না করতে আহ্বান জানিয়েছেন। 

এসময় তারা ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল ও তার স্ত্রীর মুক্তির দাবি জানান। একই সঙ্গে তাদের নজরদারির মধ্যে রেখে ব্যবসা করার সুযোগ দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

মানববন্ধনে অংশ নেওয়া লিজা নামের এক ভোক্তা ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি ইভ্যালিতে অনেক প্রোডাক্ট অর্ডার করেছিলাম। কিন্তু সেই পণ্য পাওয়ার আগেই তাকে জেলে যেতে হয়। আমাদের দাবি ইভ্যালির সিইও মোহাম্মদ রাসেল ও তার স্ত্রী চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে মুক্তি দিতে হবে। তারা আমাদের (ভোক্তা-মার্চেন্টদের) কাছে ছয় মাস সময় চেয়েছিলেন। কিন্তু তাকে সময় না দিয়ে জেল হাজতে রাখা হয়েছে। বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ তাদের সম্পদ বিক্রি করে দেউলিয়া ঘোষণা করার পাঁয়তারা করছে। আমরা ইভ্যালির কোনো সম্পদ বিক্রি করতে দেব না। তাদের ওয়ারহাউজে অনেক পণ্য পড়ে আছে, সেগুলো বিক্রি করে আমাদের টাকা ফেরত দিক। কিন্তু সেটা তারা না করে ইভ্যালির সম্পদ বিক্রি করার চেষ্টা করছেন। ইভ্যালির সিইও রাসেলকে জেল থেকে বের করে পরিচালনা পর্ষদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করার সুযোগ দেওয়ার দাবি জানান তিনি।

ইভ্যালির মার্চেন্ট অ্যান্ড কনজিউমার কোঅর্ডিনেশন কমিটির সমন্বয় মো. নাসির উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা কোনোভাবেই সম্পদ বিক্রি করতে দেব না। তারা ব্র্যান্ড ভ্যালুকে কাজে লাগিয়ে ইনভেন্টর এনে সমস্যার সমাধান করুক। সেটা না করে তারা ইভ্যালির সম্পদ বিক্রির চেষ্টা করছে। পরিচালনা পর্ষদ নিলামের মাধ্যমে গাড়ি বিক্রির যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেটা আমরা হতে দেব না। আমরা ইভ্যালির সিইও ও চেয়ারম্যানের অনতিবিলম্বে মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, পরিচালনা পর্ষদে মার্চেন্ট, ভোক্তাদের কমপক্ষে একজন প্রতিনিধিকে সম্পৃক্ত করা, ভবিষ্যতে ইভ্যালি সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে মার্চেন্ট এবং ভোক্তাদের মতামত নেওয়া ও ইভ্যালির অডিট সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত স্থাবর-অস্থাবর সব সম্পত্তি বিক্রয় বা অন্যত্র হস্তান্তর থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করছি। একই সঙ্গে ইভ্যালির গাড়ির নিলাম বাতিল করা ও প্রমাণাদি ছাড়া কোনো বক্তব্য না দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।

তিনি আরও বলেন, ইভ্যালির সিইও মোহাম্মদ রাসেল এবং তার স্ত্রী ও প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে নজরদারিতে রেখে ব্যবসা পরিচালনার সুযোগ দিতে হবে। এ দাবির পক্ষে ২০ হাজার ১৮২ মার্চেন্ট এবং ভোক্তার স্বাক্ষরসহ ১৭ জানুয়ারি দাবি সংক্রান্ত একটি চিঠি পর্ষদকে দিয়েছি। রাসেল ভাই জেল থেকে বের হলে আমাদের সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। মানববন্ধন শেষে আমরা পরিচালনা পর্ষদের কাছে একটি স্মারকলিপি দিয়েছি।

Rate this post
Exit mobile version