দীর্ঘ ৩০ দিন পরে খুলে দেওয়া হচ্ছে ইভ্যালির ব্যাংক একাউন্ট।
গত ২৭ আগস্ট মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ২৩(০১)(গ) ধারার ক্ষমতাবলে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট ৩০ দিনের জন্য ইভ্যালি ডট কম লিঃ এর নামে এবং প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শামীম নাসরিন ও সিইও মোহাম্মদ রাসেলের নামে সকল ব্যাংক হিসাব স্থগিত করে।
যেহেতু বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট ৩০ দিনের পরে আবারও ব্যাংক হিসাব স্থগিত আদেশ বর্ধিত করে নাই, তাই আসা করাই যায় ব্যাংক একাউন্ট খুলে দেওয়া হবে এবং পেমেন্ট গেটওয়ের চালু হতে কিছু দিন সময় লাগতে পারে। ব্যাংক একাউন্ট খুলে দেওয়ার বিষয়ে ইভ্যালি ফ্যান্স ক্লাবকে নিশ্চিত করেন ইভ্যালির সিইও মোহাম্মদ রাসেল। তিনি আরো বলেন খুব শিগ্রহী ইভ্যালি আগে অবস্থানে ফিরে যাবে। ডেলিভারি করা হবে পূর্বের সকল অর্ডার। তিনি বিশ্বাস করেন, ইভ্যালি আগের থেকে দ্বিগুণ গতিতে এগিয়ে যাবে। ব্যাংক একাউন্ট সম্পূন্য চালু হলে গেটওয়ের ব্যবহার করে পেমেন্ট করা যাবে।
এর পূর্বে গত বৃহস্পতিবার তিনি ইভ্যালির অফিসিয়াল ফেসবুক গ্রুপে একটি পোস্টের মাধ্যমে জানান, আজ (রবিবার) থেকে ইভ্যালির সকল কার্যক্রম পূর্বের মতো যথারীতি চালু হবে এবং বর্তমানে চলা COD অফার বৃহস্পতিবার রাত থেকে বন্ধ করে দিয়েছেন। তিনি আরো জানান, রবিবার রাতে ফেসবুক লাইভে আসে বিস্তারিত জানাবেন। Live Full Video
বৃহস্পতিবার রাত ১২টার পর থেকে দেখা যায়, ইভ্যালির চলমান সিওডি অফার সহ সকল রেগুরার অর্ডার করা বন্ধ হয়ে যায়। একাই সাথে ইভ্যালির ই-ফুড সার্ভিসও বন্ধ হয়ে যায়। সকল প্রকার অর্ডার বন্ধের নোটিশে উল্লেখ করে, রবিবার সন্ধ্যা ৬ টার পর থেকে চালু হবে।
উল্লেখ যে, গত ২৭ আগস্ট মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট ৩০ দিনের জন্য ইভ্যালির সকল ব্যাংক হিসাব স্থগিত করায় ইভ্যালির ব্যাংকিং লেনদেন ও সকল প্রকার গেটওয়ে পেমেন্ট করা বন্ধ হয়ে যায়। তার একদিন পরেই ইভ্যালি তাদের অর্ডার কার্যক্রম চালুর রাখার জন্য প্রথাম COD অর্ডার প্রদ্ধতি চালু করে। যাতে গ্রাহক ৩০% ইভ্যালি ব্যালেন্স এবং ৭০% ক্যাশ কিংবা ১০০% ক্যাশ টাকা দিয়ে পণ্য অর্ডার করতে পারে। এই COD পদ্ধতিতে ইভ্যালির দুই শতাধিক এরও বেশি বিক্রেতা বিভিন্ন ডিসকাউন্ট অফারে যুক্ত হয়েছিলেন। একই সাথে রেগুলার সকল বিক্রেতাও এই পদ্ধতিতে পণ্য অর্ডার নিয়েছে, যা বিক্রেতা সরাসরি গ্রহকের কাছে পৌঁছে দিয়েছে এবং বিক্রেতা ৭০% কিংবা ১০০% ক্যাশ টাকা নিজেই সংগ্রহ করে নিয়েছেন।
ইভ্যালির সিইও জানান, COD পদ্ধতিতে ইভ্যালি গ্রহকের কাছ থেকে বেশ সাড়া পেয়েছেন। আরো জানা, এই ২৭ দিনে COD(ক্যাশ অন ডেলিভারিতে) তারা প্রায় ৩ লাক্ষেরও বেশি অর্ডার ডেলিভারি করেছেন। যা গ্রাহকদের ইভ্যালির প্রতি ভালোবাসা বহির প্রকাশ।
ভবিষ্যতে ইভ্যালিতে সিওডি পদ্ধতিতে থাকবে কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, ইভ্যালি যে ধারা ব্যবসা করে তার সাথে COD পদ্ধতি খুব সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। তাছাড়া এই পদ্ধতিতে একটি ই-কমার্সের ক্ষতের পরিমাণ বেশি হয়। কারণ অধিকাংশই প্রোডাক্ট রিটার্ন আসে। পূর্বে পেমেন্ট করলে নিশ্চিত হওয়া যায় যে, গ্রাহক পণ্য নিশ্চিত রিসিভ করবেন। তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে, ডিজিটাল লেনদেনের বিকল্প নেই।
~ ইভ্যালিকে কোন বাঁচানোর প্রয়োজন – একজন উদ্যোক্তার গল্প!
~ মাইক্রোসফট এর বিরুদ্ধে অনাস্থা মামলা এবং ইভ্যালির জন্য শিক্ষা