Evaly Fan's Club

ইভ্যালিকে কোন বাঁচানোর প্রয়োজন – একজন উদ্যোক্তার গল্প!

দেশীয় এক উদ্যেক্তা ব্যতিক্রমধর্মী একটি নতুন জাহাজ তৈরি করে, যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ থেকে। গন্তব্য উদ্দেশ্য বিশ্ব ভ্রমণ। বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের পরিচিতি করা। স্বপ্নটা খুব বড়, উদ্যেক্তা জানে না সত্যি কি পারবে কিনা! তবে স্বপ্ন বা চেষ্টা করতে তো কারো মানা নেই। 

        বিশ্ব ভ্রমণ, শুধু নিজেই জাহাজ নিয়ে ভ্রমণে গেলে তো আর হবেনা, ভ্রমণ পাগল যাত্রিও লাগবে। কিন্তু কে যাবে দেশে একটা সস্তা জাহাজ করে? কোন বিশ্বাসে? কিবা আছে, যার জন্য যেতে হবে? তাছাড়া ভ্রমণ সম্পর্কে তো যাত্রীদের জানাতেই হবে। তা না হলে ভ্রমণ কিংবা নতুন জাহাজ সম্পর্কে তো জানবে না। কতই তো ভ্রমণ জাহাজ আছে দেশে। 

        তাহলে অবশ্যই জাহাজ প্রতিপক্ষকে বিজ্ঞাপন দিতে হবে। যে আমরা, ব্যতিক্রমধর্মী একটি নতুন জাহাজ তৈরি করেছি, ভ্রমণ করব বিশ্ব। 

কিভাবে বিজ্ঞাপন দেওয়া যায়?

        গতানুগতিক ধারা, লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে টিভি, পত্রিকা, বিলবোর্ড, বিভিন্ন জায়গায় স্পন্সর করে কিংবা শহরে শহরে মাইকিং করে। বিজ্ঞাপনের বাজেট কিন্তু ছোট নয়। প্রশ্ন আসতে পারে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রথমে খরচ করে লাভ কি হবে? লক্ষ লক্ষ টাকার বিজ্ঞাপন করেও যদি যাত্রী না পাই? কোন বিজ্ঞাপন সংস্থা তো আর টাকা ফেরত দিবে না। 

       কিন্তু কর্তৃপক্ষ চাচ্ছে তার বিজ্ঞাপনটা ফলপ্রসূ হোক। অর্থাৎ ৯০-১০০ শতাংশ কার্যকর হবে। কর্তৃপক্ষ গতানুগতিক ধারা বিজ্ঞাপন না করে, নতুন এক ধারা নিয়ে বিজ্ঞাপন শুরু করলো। কেমন নতুন দ্বারা বিজ্ঞাপণ?

       প্রথমে বলেনি, কতৃপক্ষ বিজ্ঞাপন যেভাবে করুক না কেন, বিজ্ঞাপনের বাজেট কিন্তু সমান। কতৃপক্ষ বাজেট করে নিলো ৫০ লক্ষ টাকা। হোক সেটা গতানুগতিক কিংবা নতুন। 

কেমন নতুন দ্বারা বিজ্ঞাপণ?

     কতৃপক্ষ প্রথম নিজেদের নিকটবর্তী যাত্রীদের কাছে এই বিজ্ঞাপনটা প্রচার করলো। বিজ্ঞাপন প্রচার করা হলো বিভিন্ন আকর্ষণীয় প্যাকেজের মাধ্যমে। যেমন-

  • প্রতি আসনের ভাড়া ৫০ শতাংশ কম।
  • কিংবা, একটি আসন ক্রয় করলে আরেকটি ফ্রী।
  • কিংবা, আসন ভাড়ার সমপরিমাণ খাবার বা প্রয়োজনীয় পণ্য জাহাজ থেকে ফ্রিতে ক্রয় করতে পারবে। (তার জন্য কিছু পয়েন্ট/কিংবা কার্ড দেওয়া হবে, ভাড়ার সমপরিমাণ বা কম বেশি)
  • প্রতি আসনের সাথে, ফ্রী কিছু খাবারের ব্যবস্থা আছে।
  • আছে থাকার সুব্যবস্থা।
  • বিনোদন সহ আরো অনেক কিছু। 

এখানে একটা বিষয় বলে রাখি, কর্তৃপক্ষের শুধুমাত্র জাহাজটি। তার বাহিরে খাবার, পণ্য, বিনোদন কিংবা অন্যান্য সব কিছুই তৃতীয় পক্ষ করবে। 

কতৃপক্ষ চিন্তা করল, গতানুগতিক বিজ্ঞাপনে পূর্বেই বাজেট টাকা শেষ হয়ে যাবে, আর এই নতুনধারা বিজ্ঞাপনে একই বাজেট খরচ করবে। 

⊗ জাহাজ কতৃপক্ষ কি কোন প্রকার ক্ষতি/লোকসান হয়েছে? 

⊗  বিজ্ঞাপন কে কি কেউ ক্ষতি/লোকসান সংজ্ঞা দিবে?

        আর হা, যেহেতু বিশ্বভ্রমণ যাত্রাপথ অনেক বড়। তাই আপনার যাত্রা বাড়ার সাথে ফ্রী কিংবা প্রয়োজনীয় জিনিস যায়ই পেয়েছেন, তাতে তো আর চলবে না। তাই জাহাজের মধ্যেই আপনার প্রয়োজনীয় পণ্য, খাবার কিংবা বিনোদনের ব্যবস্থা। যে আপনাকে ক্রয় করতে হবে করতে হবে। ক্রয় করতে পারবেন যে কিছু পয়েন্ট কিংবা কার্ড পেয়েছেন, তা দিয়ে। বা আপনার নগদ টাকা দিও। আবার চাইলে আপনি জাহাজে উঠার পূর্বেও আপনার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে উঠতে পারেন। কিংবা যাত্রাপথে বিভিন্ন স্টেশনে থেকেও নিতে পারেন। 

        নতুন ধারার বিজ্ঞাপনের জন্য, জাহাজ কতৃপক্ষ বেশ সাড়া পেয়েছে। কর্তৃপক্ষ দেখতেছে যাত্রী ভ্রমণের জন্য আগ্রহ হচ্ছে, তাদের জাহাজ করে। তাই কতৃপক্ষ বিজ্ঞাপনের বাজে আরেকবার বাড়িয়ে দিল। 

পরবর্তী স্টেশন!

        যাত্রীরা যখন জানতে পারল নতুন জাহাজটি বিভিন্ন আকর্ষণীয় প্যাকেজের ব্যবস্থা করেছে এবং যাত্রীদের সঠিক ব্যবহার উপভোগ করতেছে। তাই পরবর্তী স্টেশনে যাত্রীসংখ্যা আরো বৃদ্ধি পেল। জাহাজ কর্তৃপক্ষ তাদের প্যাকেজগুলো আরো আকর্ষণীয় করল। 

এভাবে প্রতিটি স্টেশন থেকে জাহাজ কর্তৃপক্ষ বিপুল সংখ্যক যাত্রী পাচ্ছে, একই সাথে যাত্রীরাও কম মূল্যে ভ্রমণ করতে থাকতেছে। 

       কিন্তু কথা হচ্ছে কর্তৃপক্ষ কি পুরা বিশ্ব ভ্রমণ এভাবে লোভনীয় অফার দিয়ে নিয়ে যাবে? তাহলে কর্তৃপক্ষের লাভটাই বা কোথায়? শুধু জাহাজে ব্র্যান্ডিং (সুনাম অর্জন) করাটাই লাভ? যদি সুনামি অর্জন করা টাই লাভ হয়, তাহলে জাহাজ চলবে কি দিয়ে? নিশ্চয়ই হাওয়া দিয়ে নয়! জ্বালানি তো লাগবেই। আবার জাহাজ কর্মরত সকল কর্মকর্তা বেতন পরিশোধ করতে হবে। কিভাবে সেই অর্থ আসবে? 

  Blog – “হাওয়ায় ব্যবসা” বনাম “হাওয়ার ব্যবসা”

        আচ্ছা সব যাত্রী কি শুধুমাত্র অফারের আসনগুলো যাত্রা করবে? কিছু যাত্রী ও কি থাকবে না তাদের নির্ধারিত ভাড়া আসনে যাত্রা করার জন্য? অবশ্যই থাকবে। সে আসনে অবশ্যই তাদের খরচ বাদ দিয়ে লভ্যাংশ  থাকবে। আরো কিছু লাভ আসবে, ঐযে পূর্বে বললাম, তাদের কিছু রেগুলার পণ্য কিংবা খাবার ব্যবস্থা থাকবে, আপনাকে কিনতে হবে নতুন টাকা দিয়ে, পয়েন্ট কিংবা প্যান কার্ড দিয়েও ক্রয় করতে পারবেন। তবে এখানে কর্তৃপক্ষ তাদের ব্যবসা একটু বেশি লাভবান হওয়ার জন্য আপনাকে পুরোপুরি পয়েন্ট ব্যবহার করার সুযোগ দিচ্ছে না। কিছু পয়েন্ট থেকে এবং কিছু আপনার পকেট থেকে টাকা যোগ করে পণ্য ক্রয় করতে পারবেন। যেহেতু জাহাজে বিপুলসংখ্যক যাত্রী, তাই ক্রয়-বিক্রয় যতই হচ্ছে প্রতি ক্রয়-বিক্রয় থেকে জাহাজ কর্তৃপক্ষ কিছু পরিমাণ কমিশন পাচ্ছে। 

        এখন আসেন, নতুন বিজ্ঞাপনের খরচ কি শুধু একাই জাহাজ কর্তৃপক্ষ বহন করেছে? কিংবা শুধু জাহাজ কর্তৃপক্ষেরই ৫০ লক্ষ টাকা বিজ্ঞাপনের জন্য ব্যয় করতে হয়েছে? 

না, এখানে শুধু কতৃপক্ষ জাহাজটি, জাহাজে কর্মকর্তা এবং জ্বালানি। 

      বাকি সকল ব্যবস্থা তৃতীয় পক্ষ থেকে আসতেছে, আর জাহাজ কতৃপক্ষ সেই তৃতীয় পক্ষ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে একইসাথে বিপুলসংখ্যক পণ্য বা সেবা ক্রয় করে নিচ্ছে। যার ফলে কর্তৃপক্ষ তা পাইকারি মূল্যে কিংবা তারও কমে পাচ্ছে। এখানে কর্তৃপক্ষর গতানুগতিক বিজ্ঞাপন থেকে নতুন বিজ্ঞাপনে অনেকখানি সাশ্রয় হয়েছে। বাকি বিজ্ঞাপন খরচ অন্যান্য পণ্য কমিশন থেকেই উঠে নিয়ে আসতেছে একইসাথে কর্মচারী কিংবা জ্বালানি খরচ উঠে যাচ্ছে। 

এখন বলুন, নতুন ধারার বিজ্ঞাপন এবং গতানুগতিক বিজ্ঞাপনের মধ্যে কে বা কারা লাভবান হচ্ছে?  প্রথমত নিঃসন্দেহে যাত্রীরা লাভবান হচ্ছে, একই সাথে নতুন জাহাজ কর্তৃপক্ষ তাদের ব্র্যান্ডিং করে নিচ্ছে। 

এইতো গেল বিজ্ঞাপনের নতুন দ্বারা, কিংবা কতৃপক্ষের লভ্যাংশের হিসাব।

এখন দেখার বিষয় কতৃপক্ষ কি সবকিছুই সঠিক নিয়মে করতে পারতেছে? 

        প্রথম স্টেশনে পূর্বে হয়তো কর্তৃপক্ষ যথানিয়মে সকল যাত্রীকে সুব্যবস্থা দিতে পেরেছে, দ্বিতীয় স্টেশনেও হয়তোবা দিতে পেরেছে। কিন্তু লোভনীয় অফার দেখে যখন যাত্রীরা হামাগুড়ি দিয়ে জাহাজে আসতেছে, তখন কর্তৃপক্ষর তো অবশ্যই কিছুটা হলও বেগ পেতে হবে। অবশ্যই কতৃপক্ষের তখন সকল কিছু বৃদ্ধি করতে হবে। যেমন জ্বালানি, কর্মচারী কিংবা সময়মতো যাত্রীর সেবা। 

যাত্রী সংখ্যা যখন বেড়ে চলছে, তখন জাহাজ কতৃপক্ষের সবকিছু সাপোর্ট দিতে হয় কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে। ধরন জাহাজের যাত্রীসংখ্যা তখন দুই হাজারে। বিশাল সংখ্যক যাত্রীকে সেবা দিতে কি ১০০% নিশ্চিত ভাবে পারবেন? 

তাদের মধ্যে অন্ততপক্ষে ৫-১০ জন যাত্রীতো তাদের পর্যাপ্ত সেবা নাও পেতে পারে। স্বাভাবিক অবস্থা যাত্রী পর্যাপ্ত সেবা না পেলে কতৃপক্ষ কিংবা উপর মহলে তার অভিযোগ জানাবেন। এটা স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু একটা বিষয় দেখুন, বাকি বেশি সংখ্যক যাত্রী যেখানে সুবিধা পাচ্ছে তারা কি সর্বত্র বলে যাচ্ছে? একবারে যে বলছে না তাই নয়, না বললে এত যাত্রী আসলো কোথায় থেকে? তবে শতাংশ টা খুবই কম। 

        কিন্তু, বেশি সংখ্যক যাত্রী সুনামে, অল্প কিছু সংখ্যক যাত্রীর অভিযোগ হয়তোবা ধামা চাপা পড়ে যেত। তা হচ্ছে না। কারণ ৫-১০ জন যাত্রী তাদের অভিযোগ সর্বত্রে বলে যাচ্ছে। একইভাবে সুবিধা উপভোগ করা বেশিসংখ্যক যাত্রীরা ততটা বলছে না। 

হা, অভিযোগ একেবারে মিথ্যা যে তাই নয়। তবে এই অভিযোগ তিল থেকে তাল করাটাই বড় সমস্যা। 

        যেমন, যাত্রী অভিযোগ করেছে, আমি খাবার পেতে দেরি হয়েছে। দেখুন, ২ হাজার কি খবর সংখ্যক যাত্রীকে খাবার দিতে একই সময়ে একই সাথে পারবেনা। (বিয়ে বাড়িতে গেলে কি সকল মেহেমান একসাথেই খাবার খেতে পারে? কিন্তু মেহমানকে সময় দেয়া হয়েছে দুপুর ১২টা থেকে ২ টা।) এখানেও নতুন জাহাজ কতৃপক্ষ হিসেবে তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী সব সেবা একই সময় হয়তো বা দিতে পারেছে না। তবে কতৃপক্ষ সেবা না দিতে পারলেও সেবার মূল্য যাত্রীকে পরিশোধ করে দিচ্ছে। তার জন্য কর্তৃপক্ষের অবশ্যই যাচাই করার জন্য কিছু সময় লাগে। যেমন অভিযোগকারী যাত্রী সত্যিই কি সেবা পায় নাই, বা কেন পাই নাই। (যেমন বিয়ে বাড়িতে, মেহমানের সংখ্যা কিছুটা হলেও অতিরিক্ত হয়, তাই বলে মেহমানকে কি ফেরত দেওয়া হয়? মেহমানের জন্য তাৎক্ষণিক খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। তার জন্য কিছুটা সময় বিলম্ব হতে পারে, তাই বলেতো সম্পূর্ণ প্রতারণা করা হয় নাই। ) 

        যাইহোক অভিযোগ করেও যেহেতু কর্তৃপক্ষ সময় মতো সঠিক সমাধান যাত্রীকে দিতে পারে নাই, তখন উপরমহল তো অবশ্যই যাত্রীর অধিকার এর জন্য নাক গলাবেই। যা উপর মহলের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।

কি করতে পারে উপর মহল?

  জাহাজ কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করবে, কর্তৃপক্ষের কাছে সঠিক তথ্য চাইবে, কর্তৃপক্ষের কাছে জবাব চাইবে।

        কতৃপক্ষ এখানে কোনভাবেই অস্বীকার করতে পারবেনা, যে ৫ থেকে ১০ জন যাত্রীর অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। জাহাজ কতৃপক্ষ হয়তোবা এখানে যুক্তি দিবে, আমাদের প্রচুর সংখ্যক যাত্রী থাকায় কিছু যাত্রী সেবা আমরা সম্পূর্ণ রুপে সঠিকভাবে দিতে পারিনি। তবে আমরা ভবিষ্যতে এমন যেন না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখবো। কতৃপক্ষ বলতে পারে, যেহেতু আমাদের পদ্ধতি সম্পূর্ণ নতুন ধারার, তাই আমরা অন্য কারো পদ্ধতি অনুসরন করতে পারি নাই, তার জন্য হয়তোবা আমরা সবকিছু সঠিক সময় সঠিক নিয়মে করতে পারিনি। 

এখানে আপনার একটা প্রশ্ন আসতেই, যে সঠিক সময় যদি যাত্রী সেবা নাই দিতে পারে, কেন জাহাজের যাত্রী নেওয়া বন্ধ করা হচ্ছে না? কেন যাত্রী নেওয়া বন্ধ করে অভিযোগকারীদের সমাধান দেয়া হচ্ছে না? 

চলন্ত একটা জাহাজ যাত্রী নেওয়া বন্ধ করে দিলে তাদের লভ্যাংশ কোথায় থেকে আসবে? কিংবা জাহাজের জ্বালানি এবং কর্মকর্তাদের বেতন এবং আনুষঙ্গিক খরচ কিভাবে চলবে? লভ্যাংশ যদি নাই এসে, কিভাবে নতুন গ্রাহকদের জন্য বিজ্ঞাপন/অফার দেবে?

        উপর মহল জাহাজ কর্তৃপক্ষকে তদন্ত করতে পারে। কিন্তু জাহাজ মধ্যপথে বন্ধ করে দিয়ে তদন্ত কিংবা অভিযোগ নিষ্পত্তি করতে পারবে? উপর মহল তদন্ত করতে যাত্রীদের সুবিধার জন্যই। যেন কোনো যাত্রী কোন ভাবে প্রতারিত না হয়। কিন্তু মধ্যপথে জাহাজ বন্ধ করে দিয়ে কেন?

কি হতে পারে মধ্যপথে জাহাজ বন্ধ করে দিলে?

        প্রথমত, জাহাজে অবস্থানগত সকল যাত্রী আতঙ্কে থাকবে আমরা কি আসলেই গন্তব্যস্থলে কিংবা আমাদের পূর্ববর্তী স্টেশনে যেতে পারবো? একই সাথে কর্তৃপক্ষ নতুন যাত্রী না নিলেও জাহাজের ভিতরের যাত্রীদের দিতে পারবে কোন সুব্যবস্থা? জাহাজ যেখানে বন্ধ হয়ে গেছে, খাবার সংকট হবে, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের সংকট হবে। সবচেয়ে বড় ক্ষতি হবে অন্যান্য ভ্রমণ জাহাজের। ক্ষতি হবে পুরা পর্যটন কতৃপক্ষের। কারণ তখন অন্য যাত্রীরা আস্থা হারাবে। জাহাজ কতৃপক্ষ জাহাজ চলাচলের জন্য জ্বালানি সরবরাহ না করতে পারলে, গ্রাহকরা যেমন তার গন্তব্য স্থলে কিংবা পূর্বের স্টেশন আসতে পারবে না, তেমনি জাহাজ কর্তৃপক্ষও এর মধ্য থেকে কোথাও পালিয়ে যেতে পারবেনা। কারণ, উপর মহল জাহাজ কর্তৃপক্ষকে নজরদারি রাখছে। 

জাহাজ কর্তৃপক্ষেরসাময়িক সময় ক্ষতি হলেও, যদি কতৃপক্ষ সকল সমস্যার সমাধান করতে পারে অবশ্যই তার দ্বিগুণ গতিতে জাহাজ নির্ভয় চালিয়ে যেতে পারবে। কিন্তু জাহাজ বন্ধ থাকা অবস্থায় যাত্রীরা যে আতঙ্কে আছে, একই ভাবে জাহাজে তৃতীয়পক্ষ সেবাদানকারীর আতঙ্কে আছে। বিশ্বাস হারাচ্ছে নতুন যাত্রীরা। 

      আমরা বাঙালি, সুযোগের সদ্ব্যবহার করবই। বাঙালির আরেকটা বৈশিষ্ট্য আমার আগে কেউ যেতে পারবেনা, কেউ আগে উঠে গেলে তার পা ধরে টান দিতে হবে। 

        ঠিক তেমনটাই, একজন দেশীয় উদ্যোক্তারা যখন নতুন ধারার একটি ভ্রমণ জাহাজ নিয়ে বিশ্ব ভ্রমণের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে এবং খুব সাড়া ফেলেছে, দ্রুত বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে পরিচিত করে দিয়ে যাচ্ছে, তখন কিছু সুবিধাভোগী গোষ্ঠী, যারা কখনও দেশের ভালো চায় না, ভালো চায়না জাহাজ সংস্থার, ভালো চায়না ভ্রমণ সংস্থার। তারাই মধ্যপথে জাহাজটিকে ডুবিয়ে দিতে চাচ্ছে। তারা জাহাজ কতৃপক্ষের ভুল গুলো তিল থেকে তাল বানাচ্ছে, তারা বুঝাতে চাচ্ছে “আমরা যাত্রীদের বাঁচাতে চাই“। কিন্তু তারা কখনও যাত্রীদের মঙ্গল চায় না, চায়না ভ্রমণ কিংবা জাহাজ সংস্থার। কারণ জাহাজ ডুবে গেলে কর্তৃপক্ষ এবং জাতি একসাথে ডুববে। সাথে ডুবে তৃতীয় পক্ষ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান। 

সর্বোপরি বলতে চাই, জাহাজ মধ্যপথে বন্ধ করে দিয়ে সমাধান হয়তোবা হবে, কিন্তু বন্ধ থাকা অবস্থায় যে ক্ষতি বা আতঙ্ক তা কোনো পক্ষেরই মঙ্গল নয়। এবং সুবিধাভোগী গোষ্ঠী যারা কিনা যাত্রী বাঁচানোর নামে, জাহাজ এবং জাহাজ কর্তৃপক্ষকে ডুবে দিতে চাচ্ছে, তারা ক্ষতি করতেছে জাহাজ কর্তৃপক্ষের, ক্ষতি করতেছে নতুন ভ্রমণ সেবার, ক্ষতি করতেছে ভ্রমণ সংস্থা, ক্ষতি করতেছে ভ্রমণকারীদের, ক্ষতি করতেছে সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠাননের, ক্ষতি করতেছে বাংলাদেশের। 

তারা কখনোই চায় না, কোনভাবেই চায় না নতুন দেশীও জাহাজ বিশ্ব ভ্রমনে করুক। 

ইভ্যালি হিরো । জীবনের গল্প । এভাবেই তুহিনদের স্বপ্ন বাধা পড়ে!

ইভ্যালীর সাথে বাংলাদেশের ইকমার্স এর ভবিষ্যৎ

আমি ইভ্যালি থেকে বলছি, সিটিও অফ ইভ্যালি!

 

 Moftachim Billah Nahid 

5/5 - (3 votes)
Exit mobile version