Site icon Evaly Fan's Club

ব্যবসায় লাভের পর বিনিয়োগ খুঁজছেন ইভ্যালি

ব্যবসায় লাভের পর বিনিয়োগ খুঁজছেন ইভ্যালি

ব্যবসায় লাভের পর বিনিয়োগ খুঁজছেন ইভ্যালি

২০১৮ সালের ডিসেম্বরে চালু হওয়া বাংলাদেশি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি। লোভনীয় অফার দিয়ে তাদের ক্রেতা টানার কৌশল মানুষের মাঝে উদ্দীপনা সৃষ্টি করার পাশাপাশি অনেক সমালোচনারও সৃষ্টি করে। ইভ্যালির বিরুদ্ধে প্রতারণাসহ আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠায় ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ সালে ইভ্যালির সিইও রাসেল ও তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটি চেয়ারম্যান শামিমা নাসরিন গ্রেপ্তার হয়। পরে ১৬ অক্টোবর ২০২১ সালে ইভ্যালি তাদের ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপ বন্ধের ঘোষণা দেয়। চেয়ারম্যান শামিমা নাসরিনের জামিনের পর ২০২২ সালের অক্টোবরে নতুন উদ্যোগে কার্যক্রম শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি।

১৮ ডিসেম্বর ২০২৩ সালে প্রতিষ্ঠানটির সিইও মোহাম্মদ রাসেলের কারামুক্তির পর বিভিন্ন অফার দিয়ে ব্যবসা আরো বৃদ্ধি করে এবং গ্রাহক-মার্চেন্ট ইভ্যালির অফারে আগ্রহ প্রকাশ করে। নতুন করে চালুর পর প্রতিষ্ঠানটি সেলার বা সাপ্লায়ার মাধ্যমে লাভে পন্য বিক্রয় করছে গ্রাহকদের কাছে। বিগত চার মাসে লক্ষাদিক পণ্য ডেলিভারি করেছে। তার জন্য কোন প্রকাশ মার্কেট খরচ করে নাই বলে দাবি করছে প্রতিষ্ঠানটির সিইও মোহাম্মদ রাসেল।

আজ রাসেল তার ভেরিফাই ফেসবুকে ইভ্যালির সফলতার দাবি করে দেশ-বিদেশি বিনিয়োগ খুঁজছেন বলে জানিয়ছে। ইতিমধ্যে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সাথে আবারও যোগাযোগ করেছে।

সম্পূর্ণ পোস্ট,


 “আমরা ইভ্যালির জন্য ফান্ডরেইজ করতে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এবং অতীতের যে কোন সময়ের তুলনায় আমরা ইভ্যালির সফলতা নিয়ে এখন সবচাইতে বেশি কনফিডেন্ট।

নতুন করে ফিরে আসার পর বিগত ৪ মাসে মার্কেটিং এ শূন্য বিনিয়োগ করেও লক্ষ লক্ষ অর্ডার ডেলিভারি করেছে ইভ্যালি, এবং অপারেশনাল প্রফিট এ রান করছে। সেখান থেকে আমরা কিছু দেনাও ইতিমধ্যে শোধ করেছি।

এ কারণেই আমরা ইভ্যালির সফলতা এবং ফান্ড রেইজ এর সিদ্ধান্ত নিয়ে এখন প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাসী।

ফান্ডরেইজিং এর মাধ্যমে আমরা বর্তমান অপারেশনকে ২০ থেকে ৫০ গুণ বাড়িয়ে আরও দ্রুত গ্রো করতে চাই, আরও বেশি প্রফিট জেনারেট করতে চাই, এবং পূর্বের দেনাগুলো আরও দ্রুত পরিশোধ করতে চাই, যেন আমাদের গ্রাহকদের কাছে দেয়া কমিটমেন্ট আমরা সম্পূর্ণভাবে রক্ষা করতে পারি।
একটা কথা আমি আত্মবিশ্বাসের সাথে বলতে পারি, বিনিয়োগ ছাড়াও বর্তমান ইভ্যালি এগিয়ে যাবে। কিন্ত দ্রুততম সময়ে ব্যাবসায়িকভাবে আরও শক্ত অবস্থান তৈরি করতে বিনিয়োগ আমাদের সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
শত চড়াই উতরাই আর ভুল ভ্রান্তি ও বিশাল চ্যালেঞ্জ পার হয়ে আসার পরও ইভ্যালির এই পারফরম্যান্স প্রমাণ করে যে, প্রয়োজনীয় ফান্ড পেলে ইভ্যালি এখন সাফল্যের সর্বোচ্চ শিখরে পৌছে যাবে দ্রুততম সময়ে। বাংলাদেশের ইকমার্স ইন্ডাস্ট্রিতে সেই ইকমার্সই শেষ পর্যন্ত সফলতা পাবে যেটি বাংলাদেশিদের তৈরি, বাংলাদেশিদের জন্য তৈরি। সেটি হচ্ছে ইভ্যালি।
আমরা ইতিমধ্যে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সাথে যোগাযোগ শুরু করেছি, এবং আলোচনা এগিয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থায় ছোট ছোট দেশি বিনিয়োগ একদিকে আমাদের অপারেশনাল এফিশিয়েন্সি ও প্রফিটেবিলিটি যেমন বাড়াবে, তেমনি আমাদের বিদেশি বিনিয়োগ পাওয়ার সম্ভাবনাকে অনেক ত্বরান্বিত করবে।
ইভ্যালির এই অসাধারণ যাত্রায় যদি বিনিয়োগ এর মাধ্যমে কেউ প্রাথমিকভাবে এগিয়ে আসতে চান, আপনারা সময় দিলে সাক্ষাতে বিস্তারিত জানাতে চাই।”
5/5 - (1 vote)
Exit mobile version