আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি গ্রাহকের পাওনা আরও ৬০ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) প্রতিষ্ঠানটির সিইও মো. রাসেল নিজের ফেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানান।
টাকা ফেরত দেওয়া গ্রাহকদের একটি তালিকা পোস্ট করে রাসেল লিখেছেন, ইভ্যালি’র পূর্বের ক্যাম্পেইনের আয় থেকে ৬০ লক্ষের অধিক টাকা ইতিমধ্যেই লংকাবাংলার কার্ড হোল্ডারদের রিফান্ড করা হয়েছে। যাদের নাম এই পোষ্টের সাথে শেয়ার করা লিস্ট এ আছে, আপনাদের কার্ড প্রোভাইডারের সাথে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হচ্ছে! (সম্পূর্ণ তালিকা নিম্ন দেখুন)
এর আগে গত ৫ মার্চ জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযোগ নিষ্পত্তির মাধ্যমে দ্বিতীয় দফায় ইভ্যালি ১০০ জন গ্রাহককে তাদের পাওনা টাকা ফেরত দেয়। এ সময় ভোক্তা অধিকার মহাপরিচাক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, যাদের অভিযোগ ২০ হাজার টাকার ভেতরে, ধারাবাহিকভাবে তেমন ১০০ জনের টাকা ফেরত দিচ্ছে ইভ্যালি।
তারও আগে চলতি বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি ১৫০ জনের পাওনা টাকা ফেরত দিয়েছিল ইভ্যালি।
উল্লেখ্য, নতুনভাবে ব্যবসা শুরুর পর গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর ‘বিগব্যাং’ নামে প্রথম ক্যাম্পেইন করে ইভ্যালি। মাত্র ২০ ঘণ্টায় দুই লাখের বেশি পণ্যের অর্ডার পেয়ে শুরুতেই বাজিমাত করে প্রতিষ্ঠানটি। এরপর চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি রাতে দ্বিতীয় ক্যাম্পেইন ‘বিগব্যাং-টু’ উন্মুক্ত করে ইভ্যালি।
ব্যাংকের চাকরি ছেড়ে ২০১৮ সালে ইভ্যালি প্রতিষ্ঠা করে হইচই ফেলে দেন মোহাম্মদ রাসেল। মাত্র দুই বছরের মধ্যে দেশের শীর্ষস্থানীয় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান হয়ে ওঠে ইভ্যালি। কিন্তু ওই সময় ঋণের বোঝাও বেড়ে যায় তাদের।
তবে অভিযোগ আছে, ইভ্যালিকে থামানোর জন্য তখন দেশি-বিদেশি কয়েকটি প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠান উঠেপড়ে লাগে। তার জন্য মোটা অঙ্কের বরাদ্দও করেন তারা। একপর্যায়ে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে গ্রেপ্তার হন রাসেল। কিন্তু তাকে গ্রেপ্তারে হতাশ হন প্রতিষ্ঠানটির লাখ লাখ গ্রাহক। তারা ইভ্যালির ব্যবসা চালুর জন্য আন্দোলন শুরু করেন। তাকে মুক্তি দিতে ২০ হাজারের বেশি ক্রেতা-বিক্রেতা আদালতের কাছে লিখিত আবেদন করেন।
এর মধ্যে নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়েছেন রাসেল ও তার প্রতিষ্ঠান। সর্বশেষ ২০২৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর জামিনে মুক্তি পান তিনি। তবে তার স্ত্রী ও ইভ্যালির চেয়ারম্যান অনেক আগেই মুক্তি পেয়েছেন।