সিইওদের দ্রুত আইনি প্রক্রিয়া বের করে আনাটাই এখন জরুরী – শফিকুজ্জামান
সিইওদের দ্রুত আইনি প্রক্রিয়া বের করে আনাটাই এখন জরুরী - শফিকুজ্জামান
কিউকম এর ফস্টারে আটকে থাকা প্রায় ৬০ কোটি টাকা আপাতত গ্রাহকদের ফেরত দেয়ার সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। মাননীয় বাণিজ্য মন্ত্রী আগামী সোমবার আনুষ্ঠানিক ভাবে টাকা হস্তান্তর শুরু করবেন ইনশাল্লাহ। যে গ্রাহকগণ নিজের ওয়ালেট হতে বিকাশ/নগদের মাধ্যমে পেমেন্ট করেছেন তারা ২/১ দিনের মধ্যেই টাকা পাবেন। যারা এজেন্ট ব্যাংকিং এর মাধ্যমে অর্ডার করেছেন তারা যাতে টাকা নিশ্চিতভাবে পান সেবিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক গত সপ্তাহেই বিকাশ/নগদের সাথে মিটিং করেছে। দ্রুত এসব টাকা ফেরত দেয়া হবে।
অনেকেই ১৮ জুনের টাকার বিষয়ে কিংবা যারা চেক পেয়েছেন তাদের কি হবে জানতে চেয়েছেন। কিউকম এর অফিস বন্ধ। স্টাফরা ৩/৪ মাস যাবত বেতনহীন প্রায় সবাই চাকুরি হারা। অফিস খুলে দেয়ার কাজ চলছে। তথ্য পেলে পর্যারক্রমে সবার দায় দেনা মেটানো হবে। ওয়্যারহাউজে প্রচুর প্রোডাক্ট ৩ মাস ধরে আটকে আছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যৌথ টিম গত সপ্তাহে পরিদর্শণ করেছে। ইনভেন্ট্রীর কাজ চলছে। বিপুল এ পণ্য গ্রাহককে ডেলিভারীর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
ইভ্যালি নিয়ে অনেকেই উদ্বিগ্ন। মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত পরিচালনা পর্ষদ তাদের বিষয়টি দেখছেন। গতকাল পর্ষদের এমডি জনাব মাহবুব মিলনের সাথে কথা হয়েছে। তিনিও চেষ্টা করছেন আটকে থাকা টাকা ফেরত দেয়ার উপায় বের করার।
ধামাকার মালিক জনাব চিশতি বিদেশ হতে আমার সাথে যোগাযোগ করেছেন। তাদের প্রতিনিধি আমার সাথে মিটিং করেছে। এবিষয়েও দিনরাত কাজ করছি।
ই-কমার্সের আইনি কাঠামো, কর্তৃপক্ষ গঠন এবং শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার কাজ চলছে। দ্রুত সব প্রতিষ্ঠানকে ইউবিআইডি দেয়া হচ্ছে। সেন্ট্রাল কম্পেলেইন ম্যানেজমেন্ট এবং লজিস্টিক মেনেজমেন্টের কাজ চলছে। এসব দ্রুত বাস্তবায়ন করা গেলে ই-কমার্স অতিতের সব ভুল শুধরে আগের চেয়েও ভালো ভাবেই কামব্যাক করবে। ২০২২ সনের ই-কমার্স অন্য এক উচ্চতায় পৌছাবে। ইনশাল্লাহ।
সিইওদের দ্রুত আইনি প্রক্রিয়া বের করে আনাটাই এখন জরুরী। তারা কঠোর শর্ত সাপেক্ষে বের হতে পারলে এমনকি হাউজ এরেস্ট অবস্থায় কাজ করতে পারলেও সকল তথ্য পাওয়া যেত। তখন টাকা ফেরত দেয়া আমাদের জন্য সহজ হতো।
যাইহোক বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী, সিনিয়র সচিব স্যার সার্বক্ষণিক আমাকে পরামর্শ সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছেন। ডিজিটাল কমার্স সেল যথাসাধ্য কাজ করে যাচ্ছে। বিশেষ করে জনাব সাঈদ, উপসচিব কঠোর পরিশ্রম করছে। সমস্যা অনেক জটিল। সবাই মিলেই সমস্যার সমাধান করা যাবে।
আরও পড়ুন…