সোশ্যাল মিডিয়া জন্মদিনে শুভেচ্ছায় ভাসলেন ইভ্যালির রাসেল
ইভ্যালির জনাব রাসেলকে জন্মদিনে শুভেচ্ছায় জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে হাজার হাজার পোষ্ট-কমেন্ট করছে ইভ্যালির গ্রাহক ও মার্সেন্টরা। আজ ২৪ ফেব্রুয়ারি ইভ্যালির সিইও জনাব মোঃ রাসেলের জন্মদিন ছিল। আজ ৩৯তম জন্মদিনে ছিল। জন্মস্থান ঢাকার সাভার। ২৪ তারিখ রাত ১২ টায় থেকে হাজার হাজার পোষ্ট/কমেন্টে রাসেলকে জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানানো হচ্ছে।
কিছু অভিযোগে গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে ইভ্যালির সিইও রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমাকে গ্রেপ্তার করে র্যা। এরপর থেকে প্রায় ৫ মাস তারা কারাগারে আছেন।
ব্যক্তিগত আইডিয়া এবং বিভিন্ন গ্রুপে পোস্ট দিয়ে ইভ্যালির সিইও জনাব মোঃ রাসেলের জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো হচ্ছে, তার মধ্যে অন্যতম “ইভ্যালি ফ্যান্স ক্লাব” গ্রুপটি। “ইভ্যালি ফ্যান্স ক্লাব” গ্রুপের সদস্য সংখ্যা তিন লাখেরও বেশি।
গ্রুপ থেকে কিছু মন্তব্য তুলে ধরা হলো-
মোহাম্মদ তারেক, “শুভ জন্মদিন, বাংলাদেশ ই-কমার্স এর জনক মোহাম্মদ রাসেল। ভাই আপনার জন্য রইলো অনেক অনেক শুভ কামনা। ভাই আপনার সাহসীকতা, অধম্য মেধা, পরিশ্রম কখনো বৃথা যাবেনা। দোয়া রইলো আপনার প্রতি আবারও, আপনি যেন সকল বাধা বিপত্তি কাটিয়ে নিজেকে আবারও প্রমান করতে পারেন এবং আপনার শুভ সূচনা দিয়েই সবগুলো ই-কমার্স যেন পুনরায় ফিরে আসে।”
মোঃ পারভেজ রানা, “শুভ জন্মদিন লাখো তরুণের স্বপ্নপূরণের কারিগর বাংলাদেশে ই-কমার্সের মুকুটবিহীন সম্রাট বাংলাদেশের সর্বশ্রেষ্ঠ.ই-কমার্সের ইভ্যালি প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও Mohammad Rassel ভাইয়ের শুভ জন্মদিন জন্মদিনের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন”
মোঃ আবুল হাসনাত, “আশা রাখি জীবনের আনন্দ যাত্রায় কখনােই সত্যির পথ থেকে সরে যাওনি আগামীতেও যাবে না। আজ না হয় কাল আসবে ফিরে- বসবে পাশে, গাইবো গান একি সুরে। – শুভ জন্মদিন!”
রেজাউল করিম, “শুভ জন্মদিন বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষের স্বপ্ন পূরণের কারিগর। বিশ্বাস করি পূর্ণ শক্তি নিয়ে ফিরে আসবে তুমি খুব শীঘ্রই।”
মোঃ মনির, “রাসেল ভাইকে অনেক মিস করি আজকের শুভ জন্মদিনে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন আল্লাহপাকের কাছে দোয়া করি রাসেল ভাই যেন অতি তাড়াতাড়ি আমাদের মাঝে ফিরে আসে আমিন”
তাছাড়াও জনাব রাসেলের জন্মদিনের শুভেচ্ছা ও তার মুক্তি দাবী করে অনেকে পোস্ট করেন।
‘ইভ্যালি মার্চেন্ট ও কনজ্যুমার কোর্ডিনেশন কমিটি’র সমন্বয়ক ও কো-সমন্বয়ক আলাদা আলাদা পোষ্টে জনাব মোঃ রাসেলের জন্মদিনের শুভেচ্ছা বার্ত দেন।
সমন্বয়ক মোঃ নাসির উদ্দীন, “আজকের এই দিনে আপনি একজন রত্নগর্ভা মায়ের গর্ভ থেকে ভূমিষ্ঠ হয়ে পৃথিবীতে এসেছেন। সেদিন কেউ জানতোনা আপনি আজকের মোহাম্মদ রাসেল হবেন, আপনার হাত ধরে বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ মানুষের স্বপ্ন পূরণ হবে এবং ই-কমার্স সেক্টরে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। আজকেও অনেকে জানে না আপনি আগামীর বিজনেস “আইডল”। সবাই যখন নিজে স্বপ্ন দেখে আর আপনি সবাইকে স্বপ্ন দেখাতে পছন্দ করেন, আপনার জন্ম না হলে অনেক তরুণের নতুন স্বপ্নের জন্ম হতো না। আপনি দেশের মাটি এবং মানুষকে ভালোবেসে ইস্পাত দৃঢ় মনোবল নিয়ে হাজার হাজার উদ্যোক্তাকে স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেছেন আপনি ব্যতিক্রম আপনি অন্যন্য আপনি অতুলনীয়। আজ আপনার জন্মদিন, শুভ জন্মদিন “মোহাম্মদ রাসেল” আপনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু এবং মঙ্গল কামনা করছি।”
কো-সমন্বয়ক সাকিব হাসান, “আপনি একটি ভালোবাসার নাম। আপনি সৎ আপনি ভুল ছিলেন না, আপনি হেরে যান নি। আপনি হারবেন কেন? আপনি তো স্বপ্নদ্রষ্টা, আপনি সেই মানুষ যে এদেশের প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নপূরণের জন্য এ দেশকে ডিজিটাল করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছিলো। আপনি জানতেন যতদিন এদেশ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে আছে ততোদিন এ দেশকে কেউ দমিয়ে রাখতে পারবে না। আপনি তার কথায় সবসময় উদ্যমী ছিলেন। আমরা জানি আপনার ব্যাবসায়ীক প্ল্যান গুলো কতটা স্মুথ ছিলো। আপনি তো এদেশে ই কমার্সের যাত্রা শুরু করলেন। মানুষ ঘড়ে বসে লাখো প্রোডাক্ট নিশ্চিন্তে কেনা কাটা করার সাহস যুগিয়ে দিলেন। আপনি হেরে যাবেন না। আপনাকে হারতে দেওয়া যাবে না। আমরা জানি না কেন আজ আপনাকে দাবিয়ে রাখা হলো। কেন আপনাকে সময় দেওয়া হলো না। যখন ব্যাবসাকে ঘুড়য়ে প্রফিট করা শুরু করছিলেন তখন কেন বেড়াজালে আটকে দেওয়া হলো আপনার সব চিন্তা, ধ্যান ও স্বপ্ন কে। আজ হয়তো আপনি থাকলে সব কিছুর একটা সমাধান হতো। আপনাকে আপনার চাওয়া সময়টুকু দিলে সেই স্পেস টুকু দিলে আজ প্রমান করতে পারতেন আপনিই সেরা। আপনার কোন ভুল বা অসৎ উদ্দেশ্য ছিলো না।
তবে আমি এটা জানি আপনি ফিরবেন। আপনি আসবেন আবার বীরের বেসে। আপনার মাধ্যমেই আবার ঘুড়ে দাঁড়াবে এদেশের ই কমার্স। আপনি আবার সবাইকে বেস্ট সার্ভিস দিবেন। আপনি প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন পুরনে ও দেশকে ডিজিটাল করা জন্য থাকবেন প্রথম সাড়ির কাতারে। কারন, We Believe In You রাসেল ভাই। শুভ জন্মদিন। আপনার জন্য দোয়া এবং ভালোবাসা।”
কমিটির অন্যতম সদস্যা ফয়সাল ইসলামে পোষ্টে উল্লেখ করেন, “আজ সাহসী বীরের জন্মদিন। সাহস তোমার ঠিক তেমনি, যেমন থাকে বীরের। নির্ভয়ে তুমি যুদ্ধ করো থামবে না বল তীরের। ডর পেয়ে কি লুকিয়ে থাকো? এগোতে লাগে ভয়? তবু কি তুমি হবে কভু বীর? হবে তোমার এই জয়? এক বীরের এই হাজার সাহসে, এগিয়ে যাবে পথ। হাজার বীরের লক্ষ সাহসে, থামবে না এই রথ।
রাসেল ভাইয়ের জন্মদিনের অনেক অনেক ভালবাসা, ইনশাআল্লাহ খুব শীঘ্রই সব ষড়যন্ত্র ধূলিসাৎ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করবো আমাদের এই সুন্দর পৃথিবীতে।”
ইভ্যালির সিইও মোহাম্মদ রাসেল রাজধানীর রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পাশ করেন। এরপর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিসংখ্যানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০১১ সালে ঢাকা ব্যাংকে চাকরি নেন তিনি। চাকরির পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিএ করেন রাসেল। ছয় বছর পর ঢাকা ব্যাংকের চাকরি ছেড়ে অনলাইনে পণ্য বেচাকেনার ব্যবসা শুরু করেন।
২০১৬ সালে প্রথমে অনলাইনে ডায়াপার বিক্রি দিয়ে যাত্রা শুরু করেন রাসেল। ২০১৭ সালে এই ব্যবসা করতে গিয়ে বড় একটি অনলাইন প্লাটফর্মের কথা চিন্তা করেন। সেই চিন্তা থেকেই ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে মোহাম্মদ রাসেল ইভ্যালি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রায় ১৭ লাখ নিয়মিত ক্রেতা, ২০ হাজারের বেশি বিক্রেতা নিয়ে বাংলাদেশের ই-কমার্স খাতে স্বল্প সময়ে প্রথম সারিতে উঠে আসে ‘ইভ্যালি’। এশিয়ার মধ্যে স্বল্প সময়ে দ্রুতবর্ধনশীল ই-কমার্স স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি ও বিজনেস লিডার হিসেবে অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন মোহাম্মদ রাসেল।
আরও পড়ুন…
- ব্রেকিং নিউজঃ ইভ্যালির গ্রাহকদের জন্য সুসংবাদ দিলেন হাইকোর্ট
- নিলামে গাড়ি বিক্রির বিরুদ্ধে ‘ইভ্যালি মার্চেন্ট ও কনজ্যুমার কোর্ডিনেশন কমিটি’র প্রতিবাদ সমাবেশ
- ইভ্যালির রাসেলকে নিজেদের জিম্মায় মুক্তি চান মার্চেন্ট-গ্রাহকরা
- সম্পদ বিক্রি নয়, ইভ্যালির ব্র্যান্ড ভ্যালু কাজে লাগানোর দাবিতে মানববন্ধন
- সিইওদের দ্রুত আইনি প্রক্রিয়া বের করে আনাটাই এখন জরুরী – শফিকুজ্জামা
- ইভ্যালি কিভাবে লাভমান হবে?